বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার একটি ইউনিয়নে দূর্গাপুজা উদযাপন করা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে শরণখোলা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক তাপস মিত্র লোটন বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক ইউনিয়নের রাজাপুর গোবিন্দ মন্দির দখলের চেষ্টা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উপর অব্যাহত হুমকিতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত।
তিনি জানান, রাজাপুর এলাকার আঃ রাজ্জাক ডালিম গত ১৪ আগষ্ট রাতে ২৫/৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়ে গোবিন্দ মন্দির দখলের চেষ্টা করে। এসময় তারা মন্দিরের সেবাইত দ্বিজেন্দ্রনাথ হাওলাদারের বসত ঘর ভাংচুর চালিয়ে দখল করে নেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওই ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় মামলা করা হয়। এরপর তারা জামিনে বেরিয়ে এসে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করছে। পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে সন্ত্রামী ডালিম বাহিনী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হিন্দু নেতৃবৃন্দের উপর অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা দূর্গাপুজা উদযাপন করা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে উপজেলার প্রতিটি দূর্গাপুজা মন্ডবে কালোপতাকা উত্তোলন ও ব্যানার টানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গোবিন্দ মন্দির ও সেবাইতের জমি নিয়ে ষড়যন্দ্রকারীদের বিচার, মন্দির কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলার দ্রুত চার্জসিট প্রদান ও দুর্গাপুজাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রদান করার তিনদফা দাবি জানানো হয়।
অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা দিবেন বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শরণখোলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুল দাস, শরণখোলা জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি আসীষ কুমার দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বাবুল, রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জমান মিলন, ইউপি সদস্য অদুদ আকন, এ্যাড. চঞ্চল কুমারসহ দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।