বাগেরহাটে ঈদের প্রধান জামাত ষাটগম্বুজ মসজিদে

বাগেরহাটে ঈদ-উল আযহার প্রধান এবং বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক এ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করবেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঐতিহাসিক এই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে প্রতিবছর বাগেহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পর্যটক ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগন অংশ নেন।

দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম এই ঈদ জামাতে এবারো প্রায় অর্ধলক্ষ মুসুল্লী অংশ নিবেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮.৪৫ টায়।

বাগেরহাটে কোথায় কখন ঈদ জামাত –
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা ঈদ গাহ ময়দানে, পি সি কলেজ জামে মসজিদে, পি টি আই জামে মসজিদে ঈদ-উল আযহার নামাজের জামাত জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সোয়া ৮টায় খারদ্বার ঈদ গাহ ময়দানে, মিঠা পুকুর পাড় জামে মসজিদে, রেলওয়ে জামে মসজিদে, সরুই মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে, খানজাহানিয়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে, হাড়ীখালী মসজিদে, নাগের বাজার হাজী আরিফ মসজিদে, খানজাহান পল্লী জামে মসজিদে, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল জামে মসজিদে, দড়াটানা জামে মসজিদে, সড়ক ও জনপথ জামে মসজিদে, সরুই হাজী আরিফ মসজিদে, পৌর পার্কে।

সাড়ে ৮টায় পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদে, হয়রত খানজাহান (রহ.)-এর মাজার মসজিদে, পুলিশ লাইন জামে মসজিদে, নতুন কোর্ট জামে মসজিদে, নাগের বাজার হাজী আরিফ মসজিদে, সোনাতলা আউলিয়াবাদ মসজিদে ঈদু-উল-আযহার প্রধান প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, ঈদ-উল-আযহা সুষ্ঠ ভাবে উদযাপনের লক্ষে পটকা ও আতসবাজি না ফুটানো, রেকর্ডার ও মাইকের মাধ্যমে উচ্চ স্বরে গান না বাজানো এবং কোমল পানীয় বিক্রির নামে রাস্তার পার্শ্বে অস্থায়ী স্টল (দোকান) তৈরি না করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ সকল অশীলতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের এক প্রেস নোটে জানান হয়েছে।

অন্যদিকে, ঈদ উপলক্ষে সকল সরকারি ও বে-সরকারি ভবনে জাতীয় পতাক উত্তোলন, জাতীয় পতাকার পাশাপাশি “ঈদ মোবারক” খচিত বাংলা ও আরবী হরফের পতাক উত্তলন। সরকারি শিশু সদন, এতিমখানা, হাসপাতাল ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং ঈদের দিন রাতে সরকারি ও বে-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।