বুধবার রাতে বাগেরহাট শহরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা সোহাগ শেখ (২২) খুন হয়েছেন।
সোহাগ বাগেরহাট শহর যুবলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সোহাগকে ধরে নিয়ে শহরের বাসাবাটি মন্দিরের সামনে উপর্যুপরি কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে সোহাগ মারা যান। নিহত সোহাগ শেখ বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার আবদুল হাকিম শেখের ছেলে।
|| বাগেরহাটে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি শামিম হোসেন বলেন, ‘নিহত সোহাগ আমার ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদালাপী ও দলের নিবেদিত কর্মী ছিলেন।’
এর আগে ঘটনার পর বুধবার রাতে জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলা হলেও কেউই নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে পৌর ঈদ গাহে জানাজা শেষে সরই কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত সোহাগের বড় ভাই ফারুক ও সোহেল জানান, স্থানীয় বাসাবাটি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাভিত্তিক রাজনীতির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল থেকে চাঁদা আদায় এবং একটি মুঠোফোন নিয়ে সোহাগের সঙ্গে জনৈক শাওনের বিরোধ নিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন থানায় মামলা হয়নি।