জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, খান আকরাম হোসেনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি গ্রামে।
বাবার নাম জয়নাল আবেদীন খান, আর মা জুলেখা বেগম।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন আকরাম। এরপর ভোল পাল্টে সরকারি চাকরিও জুটিয়ে ফেলেন।
কিশোর বয়সে যুদ্ধাপরাধে অংশ নেওয়া আকরাম কৃষি বিভাগের মেকানিক হিসেবে ২০১১ সালে অবসরে যান।
সিরাজ মাস্টারের মত আকরামও একাত্তরে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং বাগেরহাট অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে অংশ নেন।
যে তিনটি ঘটনায় আকরামকে ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত করা হয়, তার প্রতিটি ঘটনাতেই সঙ্গে ছিলেন বাগেরহাটের আরেক রাজাকার সদস্য লতিফ তালুকদার।
রায়ের আগে মৃত্যু হওয়ায় চার দশক আগের করা অপরাধের সাজা তার আর জেনে যাওয়া হয়নি।
পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা লতিফ ১৯৮৫ সালে কুচয়া থানার রাড়িপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির একজন স্থানীয় নেতা। ১৯৯০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে মামলার নথি থেকে জানা যায়।
লতিফ তালুকদার বাগেরহাটের কচুয়া থানার শোলারকোলা গ্রামের জেন্দের আলী তালুকদার ও সামর্তমান বিবির ছেলে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের আকরাম হোসেনের আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।