পাঁচ বছর আগে বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তার ছেলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ (ফাঁসির রায়) দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত বাদশা গাজী (৪৫) মোরেলগঞ্জ উপজেলার মানিকজোড় গ্রামের বাসিন্দা।
বাবা মো. মোতাহার গাজীকে হত্যার পর থেকেই বাদশা পলাতক বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে ৯ ফেব্রুয়রি সকলে বাদশা গাজীকে বাজার থেকে ওষুধ আনতে বলেন তার অসুস্থ বাবা মোতাহার গাজী। ওষুধ না নিয়ে বাড়ি ফেরায় দুপুরে মোতাহার ছেলেকে বকাবকি করেন।
এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদশা দা দিয়ে বাবা মোতাহারের মাথায় কোপ দেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন (৯ ফেব্রুয়রি ‘১০) সন্ধায় নিহত মোতাহার গাজীর ছোট ছলে আব্দুল হক গাজী বাদী হয়ে বড় ভাই বাদশা গাজীর বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই গৌতম হালদার ২০১০ সালের ২৯ জুন বাদশা গাজীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দেন।
বিচারকালে আদালত মামলার নয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার এক মাত্র আসামী পলাতক থাকায় আদালত তার অনুপস্থিতিতে সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।