মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন সরকারি খালগুলো দখলমুক্ত করতে শুরু হওয়া অভিযানের প্রথম দিনে ছয়টি খালের ২১টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (০৫ আগস্ট) সকাল থেকে ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অধিনে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৮২টি খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণে এই অভিযান শুরু হয়।
জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও রামপালের ইউএনও অভিযাণে নেতৃত্ব দেন। অভিযানের আওতায় উপজেলার ৮২টি সরকারি রেকর্ডীয় খালের ওপর নির্মিত বাঁধ অপসারণ করা হবে।
রামপালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব কুমার রায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকল সরকারি খালের বাঁধ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে। প্রথম দিনে উপজেলার চার ইউনিয়নের ৬টি সরকারি খালে অবৈধভাবে দেওয়া ২১টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের স্যাদলার খালের দুইটি বাঁধ, পেড়িখালী ইউনিয়নের তাপালির খাল ও আমতলা খালের পাঁচটি বাঁধ, রাজনগন ইউনিয়নের গড়ের খাল ও ছোট গড়ের খানের আটটি বাঁধ এবং উজলপুর ইউনিয়নের বেদিবুনিয়া খালের ছয়টি বাঁধ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌরুট মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ অভিযান চলছে। বাঁধ অপসারণে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চ্যানেল সংলগ্ন সকল নদী ও খাল রক্ষায় এগুলোকে যথাযথভাবে খননের লক্ষে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন রামপাল ও মংলা উপজেলার ২৩টি প্রধান খালের বাঁধ অপসারণ করে প্রশাসন। কিন্তু পরে তা আবারো বেদখল হয়ে যায়।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রামপালের এসব রেকর্ডীয় খাল থেকে অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের জন্য খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও বাগেরহাটের তৎকালীন জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রামপাল সদর ইউনিয়নের ওড়াবুনিয়া খালের বাঁধ কেটে অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করেন। এ সময় রামপাল উপজেলা প্রশাসন মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের সাথে সংযুক্ত ২৩টি প্রধান খাল চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত করে। কিন্তু এই অভিযান কিছুদিনের মধ্যেই ঝিমিয়ে পড়ে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী অবৈধ দখলদার ও চিংড়ি চাষিরা তা আবার দখলে নেন।