বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (কালেক্টরেট) তিনটি ভবনের ছাদ ও পিলারে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। টানা বর্ষণে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
কার্যালয়ের একটি তিন তলা ও দুটি দ্বিতল ভবনের ছাদ ঝুকিপূর্ণ হওয়াতে কয়েকটি কক্ষে গাছের বল্লি (খুটি) দিয়ে ছাদ ঠেস দেওয়া হয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে ভবনগুলো সংঙ্কার করা না হলে বড় ধারণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখ গেছে, অধিকাংশ কক্ষগুলোর ছাঁদের পলেস্তার খসে পড়ছে এবং ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে। ভাবনের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজসহ গুরুত্বপূণ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।
ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলোর মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জায়গা না থাকায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কক্ষে পলিথিন মুড়ি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।
এ অবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়, আদালত এবং রাজস্ব শাখা, জুডিশিয়াল মুন্সি খানাসহ অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজস্ব শাখার এক কর্মচারী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তিনটি ভবনে চার শতাধিক কক্ষ রয়েছে। বর্ষায় ভবন গুলোর উপর তালার কক্ষগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানিতে ভিজে আছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন জানান, ভারি বর্ষণে এ ভবনের যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে তাতে উপরের ছাদ ফেলে নতুন ছাদ করা ছাড়া বিকল্প কোনো কিছুই করা ঠিক হবে না। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি কক্ষে বল্লি (গাছ) দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে জেলা কালেক্টরেটের একটি তিন তলা ও দু’টি দ্বিতল ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে।
দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ অথবা ঝুঁকির্পূণ ভবনগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।