ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় মইকিং এর পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস রতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েচ্ছে।
দুর্যোগ পরিস্থিতির কারনে জেলার শরণখোলা এবং মংলা উপজেলা পৃথক দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপশি ঘূর্ণিঝড় কোমেন মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের।
রাত সোয়া একটায় শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতুল মন্ডল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শরণখোলায় এখন প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপজেলার সর্ব দক্ষিণের ইউনিয়ন সাউথখালীর বলেশ্বর নদী তীরের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম এছাড়াও মেডিকেল টিম ও সেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বলেশ্বর নদী এবং বিভিন্ন ছোট ছোট খালে আশ্রয় নেওয়া জেলেদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলার বলেশ্বর নদীতে নিদৃষ্ট সময়ের আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভাটা শুরু হয়েছে। এজন্য রাতে জলোচ্ছ¦াসের সম্ভাবন কম। তবুও তারা সর্বচ্চ সতর্ক রয়েছেন।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পিআইও নজমুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, লোকজনকে সতর্ক করতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাসি মংলা পৌরসভার পক্ষ থেকেও মাইকিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি একটি মেটিকেল টিম ও সেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে বুধবার (২৯ জুল্ইা) সন্ধ্যা থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাঝে মাঝে দমকা বাতাস বইছে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জারুরি সভা আহ্বান করেছেন বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম।