উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি আরো ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে এটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।
নিম্নচাপটি বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কি. মি. দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দগুলো উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃষ্টিপাতের কারণে মংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
দূযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গভীর সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা নিরাপদে মংলা ও শরণখোলাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
টানা বৃ্টিতে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিক-কর্মচারী, জেলেসহ দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ।