ছাত্রলীগের স্থানীয় এক কর্মীকে হত্যার দায়ে ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদাণ্ডাদেশ দিয়েছেন বাগেরহাটের একটি আদালত।
সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ খান মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ১৫ আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৩ জনকে খালাস দিয়েছে।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী শেখ আরিফ হাসান রাজু বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের নূর ইসলাম শেখের ছেলে।
দণ্ডিতরা হলো যাত্রাপুর গ্রামের নুরো শেখ (৪০), তার ভাই আব্দুস সাত্তার শেখ (৫৪), আব্দুস সাত্তারের চার ছেলে রাজ্জাক শেখ (২৩), লাভলু শেখ (২১), নজরুল শেখ (২৮) ও শওকাত শেখ (৩০)।
আফরা গ্রামের আব্দুল কাদের শেখ (৪২), তার দুই ছেলে কামরুল শেখ (২৫) ও জিয়ারুল শেখ (২৪)।
চাঁপাতলা গ্রামের শেখ টিপু সুলতান (২২), যাত্রাপুর গ্রামের হোসেন শেখ (২১) ও শেখ ফারুক (৩৩)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে স্থানীয় লুৎফর শেখের বাড়িতে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা চলছিল।
সেখান থেকে দলীয় প্রতিপক্ষরা ওই বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে রাজুকে পিটিয়ে হত্যা করে।
পরদিন রাজুর বাবা বাগেরহাট মডেল থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিন/চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ওই ১২ জনসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।
নিহতের বাবা নূর ইসলাম শেখ দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
এই রায়ে সন্তুষ্ট নয় জানিয়ে তিনি বলেন, তার ছেলের হত্যাকারীদের আরও কঠোর শাস্তির আবেদন নিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।