মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় সারাদেশে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। উপকূলীয় নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে।
লঘুচাপের কারণে মংলাসহ দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে রোববার ভোর থেকে মংলাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া দিনভর একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোক্তাদির জানান, বৃষ্টি হলে জাহাজের হ্যাচ (ডাকনা) খোলা হয় না, হ্যাচ খুললে বৃষ্টির পানিতে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে বৃষ্টির সময় জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ সাধারণত বন্ধ থাকে।
এদিকে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বাগেরহাট শহরের বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
বাগেরহাট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সুইচ রুম অপারেটর আক্তার হোসেন জানান, বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় রোববার ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভালো হলে সংযোগ দেওয়া হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে-মাঝিমাল্লাদের সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে নিরাপদে আশ্রয়ে নিয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল আহমেদ জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় শনিবার সকাল থেকে কয়েক শ মাছধরা ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিরাপদ আশ্রয়ে সুন্দরবনের ছোট ছোট খালে নোঙর করেছে।
এ ছাড়া শরণখোলা ও মংলার মৎস্যবন্দরেও অনেক মাছধরা ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙর করেছে বলে জানা গেছে।