হাজারো গর্ত আর খানাখন্দে ভরা বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী ভায়া মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ডোবায় আটকা পড়ছে গাড়ি।
৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের ৪০ কিলোমিটার এখন সম্পূর্ণ ভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাইনবোর্ড-বগী সড়কটি আঞ্চলিক মহসড়কে উন্নীত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৩ সালের প্রথম দিকে শুরু হয় উন্নয়নের কাজ। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা থেমে গেছে অনিষ্টকালে জন্য। ফলে ক্ষতি হয়েছে আরো বেশী।
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথে যাতায়াত করা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ।
মোরেলগঞ্জ-বাগেরহাট রুটের লাইনম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সড়কের পিচ তুলে ফেলায় বিপদ আরো বেড়েছে। বহুস্থানে এখন শুধুই কাদামাটি ও গর্ত।
আঞ্চলিক মহাসড়কের এমন বেহাল অবস্থার বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, সড়কের খানাখন্দগুলো উত্তাল পদ্মা নদীতে থাকা নৌকার চেয়ে বেশী দোলায় গাড়িগুলোকে। গোটা সড়ক জুড়ে বইছে যেন উত্তাল কোন নদীর ঢেউ।
শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা থেকে চট্টগ্রামগামী বলেশ্বর পরিবহনের চালক শফিকুল আলম জানান, সাইনবোর্ড থেকে মোরেলগঞ্জ হয়ে শরণখোলার আমড়াগাছিয়া পর্যন্ত ৪০কিলোমিটার সড়কে এখন শুধুই বিপদের হাতছানি।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকন জানান, সুন্দরবন ঘেষা মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা থেকে জেলাশহরসহ দেশের যে কোন স্থানে যেতে এই সড়কের বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এ পথে চলছে শত শত পন্যবোঝাই ট্রাক ও যানবাহন।
মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার বাস ও পরিবহনের টিকিট কাউন্টারগুলোর হিসাব মতে, প্রতিদিন কমপাক্ষে ৪০টি দুরপাল্লার পরিবহন এই পথ দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে। সেই সাথে ঈদের জন্য অতিরিক্ত পরিবহন সার্ভিসও রয়েছে।
সড়কের খানাখন্দে প্রতিদিনই আটকে যাচ্ছে গাড়ি। নিরাপদ ও স্বাভাবিক যাতায়তের কোন পরিবেশ এখন এই সড়কটিতে নেই। তাই গন্তব্যে পৌঁছাতে সকল ধরণের পরিবহনকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে সড়কের খানাখন্দের সাথে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা বলেন, সাইবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাড়কের (একটি অংশে) সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ এই সড়কে নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয়ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।