বলেশ্বর নদের তীব্র ভাঙনে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত এ জনপদের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে জোয়ারের সময় পানির চাপে উপজেলার তাফালবাড়ী লঞ্চঘাট এলাকায় পাউবো’র ৩৫/১ পোল্ডারের একটি অংশ ধসে পড়ে।
ভাঙন ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো মুহূর্তে পোল্ডারের (বাঁধ) ঝুঁকিপূর্ণ বাকি অংশ ভেঙে সাউথখালী ও রায়েন্দা ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷
ভাঙ্গন কবলিত রায়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা পারভিন আক্তার ও আজাহার মৃধা জানান, তাদের গ্রামের আঃ হালিম, আঃ সবুর , শহিদুল, আব্দুল হক, লিটন মৃধা, দুলাল ফরাজি, জাকির ঘরামি, আনোয়ার হোসেন ও রুবেল হাওলাদারসহ ১৫/২০ টি পরিবার গত ২/১ দিনের ব্যবধানে ঘর বাড়ী ফেলে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, জরুরিভাবে ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে তাফালবাড়ী বাজারসহ ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে সাউথখালী ও রায়েন্দা ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে বাঁধের (৩৫/১ পোল্টারের) চার-পাঁচটি স্থান বলেশ্বর নদে ধসে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে আরো ৮ থেকে ১০টি স্থানে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধটি ভেঙে সাউথখালী ও রায়েন্দা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। এতে বাঁধ সংস্কারে ৩২ কোটি টাকা নদীতে যাবে বলে অভিযোগ তার।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌলশী মো. মাঈনউদ্দিন সংস্কার কাজে অনিয়ম ও একের পর এক বেড়িবাঁধ নদীতে ধসে পড়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে তারা সতর্ক রয়েছেন।