বাগেরহাটের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজে জানালার গ্রিল ভেঙে অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ তিনটি কক্ষের রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
নৈশপ্রহরী থাকা স্বত্বেও রোববার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে কলেজ এক পিওন অধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খোলার পর বিষয়টি সবার নজরে পড়ে।
প্রাথমিক ভাবে কলেজের দু’টি ল্যাপটপ, একটি ইন্টারনেট মোডেম ও মূল্যবান কাগজ পত্র খোয়া গেছে বলে ধারনা করছে কলেজ কর্তিপক্ষ।
তবে রাতে দু’জন নৈশ প্রহরী পাহারায় থাকা সত্বেও এমন চুরির ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
অধ্যাক্ষের কার্যালয়ের পিওন ননি গোপাল ব্যানার্জি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, অধ্যক্ষ ম্যাডামের রুমের তালা খুলে গ্রিল ভাঙার বিষয়টি প্রথম দেখেন তিনি। পরে ম্যাডাম ও স্যারদের ফোন করে ঘটনা জানাই।
খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক খোন্দকার আছিফউদ্দিন রাখী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, কলেজের পিওন ননি গোপাল ব্যানার্জি ফোন করে তাকে সর্বপ্রথম বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনিসহ কলেজের অনান্য শিক্ষবৃন্দ দ্রুত কলেজে ছুটে যান।
কলেজে এসে অধ্যক্ষের কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা (বিএম ও কারিগরি) শাখার অফিস কক্ষ এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের জানালার গ্রিল ভাঙা দেখেন। এর মধ্যে অধ্যক্ষের কার্যালয়, ব্যবস্থাপনা (বিএম ও কারিগরি) শাখার অফিস কক্ষে থাকা আলমারী এবং তাতে রাখা সকল কাগজ পত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান।
রাতে কলেজ পাহারা দেওয়ার জন্য দু’জন নৈশ প্রহরী থাকে বলেও তিনি জানান।
নৈশপ্রহরী আব্দুর সাত্তার জানান, রাত ১টার পর পাশের একটি রুমে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। যথা নিয়মে সকালে ওঠেন। কিন্তু চুরি’র বিষয়টি বুঝতে পারেন নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন শিক্ষক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, কলেজটি সরকারি করণের প্রক্রিয়া চলছিলো। ঈদের পর কলেজে অডিট আসার কথা ছিলো। কলেজটি যাতে সরকারি করণ না হয় এজন্য কোন মহল পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহফুজা খানম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, পুলিশ আসার আগে আমরা কোন কিছুতে হত দেই নি। দুটি কক্ষের সবগুলো আলমারী ভাঙা এবং সকল কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে।
এসব আলমারীতে কলেজের দলিলপত্র থেকে শুরু করে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র ছিল। চুরির বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
এবিষয়ে বাগেহরাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, দু’জন নৈশ প্রহরী থাকা সর্ত্বেও কলেজে কি ভাবে রাতে চুরি হয় (?)। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
কলেজের নৈশ প্রহরী লেয়াকত ও আব্দুর সত্তার এবং অধ্যাক্ষের কার্যালয়ের পিওন ননি গোপাল ব্যানার্জিকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে কলেজ কর্তিপক্ষ সন্ধা পর্যন্ত এবিষয়ে কোনা অভিযোগ দায়ের না করায় তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।