মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এতে উপকূলীয় দুই উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষ সড়ক পথে সরাসরি যুক্ত হবে বাগেরহাটসহ সারা দেশের সাথে।
মোরেলগঞ্জ-শরণখোলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে সেতু নির্মানের সম্ভব্যতা যাচাই।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর হলেও সেতু নির্মাণের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা দেখছেন স্বপ্ন পূরণের হাতছানি হিসাবে।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মোরেলগঞ্জ আসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি প্রতিনিধি দল।
বাগেরহাট-৪ আসনের (স্থানীয়) সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন প্রতিনিধি দলটিকে স্বাগত জানান। পরে পানগুছি নদীতে “সেতু নির্মাণ” এর হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফিলজিক্যাল ষ্ট্যাডি (সম্ভাবতা যাচাই) কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় ডা. মোজাম্মেল হোসেন এম.পি. বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার এখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেতুর নির্মান কাজ শেষ করা হবে।
সেতুটি নির্মিত হলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রতিনিধি দলের প্রধান বুয়েট’র পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্জাহান মোল্লা বলেন, সাইনবোর্ড থেকে বগী সড়কের ১৮তম কিলোমিটারে পানগুছি নদীতে সেতু নির্মান কল্পে হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফিলজিক্যাল ষ্ট্যাডি শুরু করা হয়েছে। আগামি ২ মাসের মধ্যে প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে।
এরপর সার্ভেটিম তাদের সমীক্ষার কাজ শুরু করবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেতু নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যাবে বলেও জানান বুয়েটে’র ওই অধ্যাপক।
অধ্যাপক ড. শাহ্জাহান মোল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন- অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা ও বাগেরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিন রেজা।
সেতু নির্মানের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হওয়ায় মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ৫ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। এই দুই উপজেলার মানুষ জেলা শহরসহ যে কোন স্থানে যেতে দুর্ভোগে পড়ে মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর পারাপার নিয়ে।
এই সমস্যার সমাধানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন পানগুছি নদীতে সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে এক বছর পূর্বে মন্ত্রনালয়ে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাঠান। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয় সম্ভব্যতা যাচাই কাজ শুরু করেছে।