প্রচ্ছদ / খবর / ‘স্বস্তির বৃষ্টি’তে অস্বস্তি, পানিবন্দি তিন শতাধিক পরিবার

‘স্বস্তির বৃষ্টি’তে অস্বস্তি, পানিবন্দি তিন শতাধিক পরিবার

Bagerhat-Morrlgong-PaniBondi-Pic-1(26-06-2015)মৌসুমী বায়ু এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার মোরেলগঞ্জে উপজেলার তিন শতাধিক পরিবার।

প্রচন্ড দাবদাহের পর ‘স্বস্তির বৃষ্টি’ই এখন অস্বস্তি হয়ে দেখা দিয়েছে জনজীবনে। বৃষ্টির কারণে এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে জেলা ও উপজেলা শহরের নিম্নাঞ্চল।

এদিকে ক’দিনের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একদিন কাজ মিললেও বেকার থাকতে হচ্ছে দুই দিন।

বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এর মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, থেমে থেকে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিপাত ও বৈরি আবহাওয়ায় উপজেলার ৭টি গ্রামের অন্তত তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্রোত বাড়ায় উপজেলার পানগুছি নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বিরাজ করেছে ভাঙন আতঙ্ক।

এরই মধ্যে ধসে গেছে নদী তীরবর্তী গাবতলা, সিংজোড় এলাকায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং উত্তর সুতালড়ী গ্রামে দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা।

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এইচ এম মাহমুদ আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তার ইউনিয়নের গাবতলা ও কাঠালতলা গ্রামের ২শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীর তীরবর্তী ১কি.মি কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার আরও ২ শতাধিক পরিবার।

উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সিংজোড় চণ্ডিপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী ১ কি.মি কাঁচা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সিংজোড় বাজারসহ শতাধিক পরিবার।

বৃষ্টির কারণে কাজ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।

মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়ন চোরম্যান মো. আউয়াল খাঁন মহারাজ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, উত্তর সুতালড়ী গ্রামের নদীর তীরবর্তী কাসেম হাওলাদার ও ইদ্রিস হাওলাদারের ত্রানের ঘর ভেঙে পড়েছে। কাটাখালের পুল থেকে এসবি বাজার পর্যন্ত ২ কি.মি কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে।

এই এলাকার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ২শ’ পরিবার এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও নদীর তীরবর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরসহ কুমারখালী, খাউলিয়া, সন্ন্যাসী, পাঠামারা, বদনীভাঙ্গা, শ্রেণিখালী, ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, পঞ্চকরণ, কুমারিয়াজোলাসহ ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে দিনে দু’বার প্লাবিত হচ্ছে।

এছাড়া জেলার উপকূলীয় শরণখোলা, মংলা, রামপলসহ নয়টি উপজেলার বিস্তৃণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে যেকোন সময় ভেসে যেতে পারে হাজার হাজার মৎস ঘের।

এদিকে, লঘুচাপে প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

২৬ জুন ২০১৫ :: স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এস/আইএইচ/এনআরএ/বিআই

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ