সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কর্তৃক উদ্বোধনের পারও চালু হয়নি খুলনা-মংলা জাতীয় মহাসড়কে স্থাপিত ভারবহন ক্ষমতা (এক্সেল লোড) নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
এতে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজনের মালামাল নিয়ে চলছে যানবাহন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক।
অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে সড়কের ক্ষতি বিবেচনায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মংলা সমুদ্র বন্দরের বহি:গমন পথে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ এ অংশে ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করে সড়ক বিভাগ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৩ মে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার টাউন নওয়াপাড়ার শ্যামবাগাতে এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি উদ্ভোধন করে মন্ত্রী বলেছিলেন, সড়ক-মহাসড়ক যত শক্ত ও মজবুত করে তৈরি করা হোক না কেন, যানবাহনে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের কারণে দ্রুতই এসব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে মাঝে-মধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হলেও বর্তমানে তেমন কাজে আসছে না এই কেন্দ্রটি।
কেন্দ্রর দায়িত্বে থাকা সড়ক বিভাগের কার্যসহকারী আব্দুল গফফার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জনবল সঙ্কট থাকায় পুরোপুরি এটি চালু করা যাচ্ছে না। পরীক্ষামূলক ভাবে এটি চালু করে দেখা গেছে প্রায় সবগুলো পণ্যবাহী যানবাহন অতিরিক্ত ওজনের পণ্য বহন করে।
সড়ক বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে পড়ে পরিবহনে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
স্থানীয় পিলজংগ ইউপি চেয়ারম্যান খান শামিম জামান পলাশ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, যানবাহনে মাত্রাতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের ফলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গিয়ে ছোট ছোট গর্ত ও উচু ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর সড়ক মেরামত করলেও তা স্থায়ী হচ্ছেনা।
এতে এক দিকে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে ছোটখাট দুর্ঘটনার পাশাপাশি যাত্রী দুর্ভোগ লেগেই থাকে। তাই দ্রুত এ লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মান্নান ফারাজি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সড়ক মহাসড়কে নিরাপদে যানবাহন চলাচলের তদারকির দায়িত্ব আমাদের, এক্ষেত্রে সড়ক বিভাগ এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কার্যক্রমে পরিচালনার জন্য আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চায়নি। সহযোগিতা চাইলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিদুল রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, কেন্দ্রটি আসলে বন্ধ নয়। জনবল সঙ্কট এবং বরাদ্দের অভাবে এখনই সার্বক্ষণিকভাবে চালু রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন পরীক্ষামূলক ভাবে দু’এক ঘণ্টা চালিয়ে আমরা লোকজনকে সতর্ক করছি।
মন্ত্রীর উদ্বোধনের পর থেকেই কেন্দ্রটি চালু আছে। নতুন অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ জুলাই থেকে এ কেন্দ্র পুরোদমে চালু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।