সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির পিলপিল চলতি মৌসুমে ৬১টি ডিম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ভোর ৬টার দিকে কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে এ ডিম দেয় পিলপিল।
পরে সেখান থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে ইনকিউবেটরে (তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে) রাখা হয়েছে। ইনকিউবেটরে দীর্ঘ ৮৫/৯০ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ১২ মে সকালে প্রজনন কেন্দ্রে থাকা অপর কুমির জুলিয়েটও ৫০টি ডিম দেয়। এ প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের দেয়া ডিম সংগ্রহ ও তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন ‘বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ’ খুলনার ফরেস্টার আজাদ কবির ও ‘করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে’র প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জাকির হোসেন।
২০০৫ সালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী ষ্টেশনের আওতাধীন করমজল এলাকায় গড়ে ওঠে দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী ও কুমিরর প্রজনন কেন্দ্র।
রোমিও, জুলিয়েট ও পিলপিল নামে এই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির তিনটি করমজলের অন্যতম আকর্ষন।