কাস্টমসের বিরুদ্ধে ‘হয়রানির’ অভিযোগ এনে অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে মংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন। ফলে আমদানি পণ্য ছাড় বন্ধ রয়েছে বন্দরে।
বুধবার (২০ মে) থেকে মংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের ডাকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। পরে তাদের এ কর্মসূচিতে সংহতি জানায় মংলা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ।
এদিকে সঙ্কট নিরসনে বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শুল্ক বিভাগের খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আল আমিন প্রামাণিক।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) কাজী মোক্তাদির হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বন্দরে বর্তমানে সার, ক্লিংকারসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ১০টি জাহাজ অবস্থান করছে।
“সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমদানি করা পণ্য জাহাজ থেকে নামলেও পণ্য ডেলিভারির কাজ বন্ধ রেখেছে। তাছাড়া বন্দরে অবস্থান করা জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।”
মংলা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান হোসেন খান বলেন, গত ১৩ মে মেসার্স আল মামুন এন্টারপ্রাইজ নামের এক এজেন্ট ট্রাইসাইকেল পার্টসের একটি চালান আমদানি করে।
“ওই এজেন্ট নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক ও কর পরিশোধ করে পণ্য খালাসের কাজ শুরুর করলেও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা চালান আবার পরীক্ষা করেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, “শুল্ক কর্মকর্তারা বন্দর ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছেন। চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিপণ্য দশ শতাংশ পরীক্ষা করা হলেও আমাদের বন্দর শতভাগ পরীক্ষার নামে হয়রানি করছে। তাদের কারণে আমদানিকারকরা নির্ধারিত সময়ে তাদের পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।”
শুল্ক কর্মকর্তাদের ‘হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড’ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রীকেও অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে সুলতান হোসেন জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহসান টিটো বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, “হয়রানির কারণে সময়মতো পণ্য ছাড় করতে না পারায় আমাদের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও রাজম্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. খালেদ রবি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মবিরতি চলবে।
এদিকে, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্য সরবরাহ, শুল্কায়ন ও ডিউটি পেমেন্টসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।