নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, জিয়াউর রহমান যখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন তিনি মানুষও খুন করেছেন, নদীও খুন করেছেন।
রোববার (১৭ মে) বিকালে মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের খনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নদী খুন করা আর মানুষ খুন করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নদীরও প্রাণ আছে।
জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন তিন শতাধিক খাল বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে লিজ (ইজারা) দেওয়া হয়েছিল চিংড়ি ঘের করার জন্য। তিনি (জিয়াউর রহমান) এ কাজটি না করলে আজ দুর্ভোগ পোহাতে হত না- বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর এসব নদী-খাল উদ্ধার করার জন্য খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন আমাদের এই সব নদী-খাল উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে নৌপথটি চালুর পর প্রতিদিন ৫০/৬০টি নৌযান চলাচল করছে। আগামী জুন মাসে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটির খনন কাজ শেষ করে নৌচলাচল পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে।
এ পথটি পুরোপুরি চালু হলে সুন্দরবনে শেলা নদী দিয়ে আর মংলা বন্দরের জাহাজ চলাচল করবে না। এতে সুন্দরবন রক্ষা পাবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর চাপ কমবে।
এসময় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আত্মগোপনে থেকে তালেবানি কায়দায় দলের নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে উৎসাহিত করেছেন। এ কারণে দেশের শতশত নিরীহ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
মন্ত্রীর সাথে এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট-৩ আসনের সাংসদ তালুকদার আব্দুল খালেক, সাংসদ রণজিত রায়, সাংসদ অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাংসদ আনোয়ারুল ইসলাম আনার, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ বিআইডাব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মংলা বন্দরের উন্নয়ন সভায় যোগ দেন নৌ-মন্ত্রী।