আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, এখনো অসংখ্য অভিবাসী অসহায়ের মতো সমুদ্রে ভাসছে। এসব অসহায় মানুষ যে কোন সময় মারা যেতে পারেন।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম ও আস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় পহেলা বৈশাখে টিএসটিতে তরুণীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকে তখন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর ওপর যদি অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়ে থাকে তাহলে সেই দায়-দায়িত্বও ওই প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে।
তারা কখনও দায় এড়াতে পারে না। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, সমুদ্রে এখনও অসংখ্য অভিবাসী ভাসছে। কোনো দেশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না।তাই মানুষ হিসেবে আমাদের যে জবাবদিহিতা সেখানে কিভাবে বলবো যে, আমরা আসলে একটা মনুষ্য সমাজে বসবাস করছি।
‘মৌলবাদ ও দুর্বৃত্তায়ন মানবাধিকার রক্ষায় বড় বাঁধা’ বলে উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা অগ্রগতির স্বার্থে সম্মিলিতভাবে এদের রুখে দিতে আহ্বান জানান।
রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করছে। তাই সুন্দরবনকে বাঁচাতে সরকার যে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে আমরা এখনো তার বিরোধীতা করছি।