সুন্দরবনের মরা ভোলা নদীতে তলা ফেটে ডুবে যাওয়া সারবাহী কার্গো জাহাজটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। ৮ দিন পর জাহাজটির মালিক পক্ষ এ উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) সন্ধ্যায় মালিকপক্ষের ভাড়া করা উদ্ধারকারী যান ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বুধবার (১৩ মে) সকাল থেকে কার্গো জাহাজ এমভি জাবালে নূর উদ্ধারে কাজ শুরু হয়।
আংশিক ডুবে যাওয়া জাহাজ জাবালে নূরকে উদ্ধার করে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে অন্তত সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ।
এদিকে, কার্গোতে থাকা জমাট বাধা মিউরেট অব পটাশ সার অপসারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পানিতে ভিজে জমাট বেঁধে যাওয়া প্রায় সাত মেট্রিকটন সার স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বন বিভাগের নিয়োগ করা স্থানীয় শ্রমিকরা কার্গোডুবির পর থেকে প্রতিদিন ভাটার সময় অল্প অল্প করে এ সার অপসারণ শুরু করে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদ বুধবার (১৩ মে) সকালে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ভোলার চরে ডুবে যাওয়া কার্গোটি সরিয়ে নিতে দু’টি টাগ বোট সেখানে পৌঁছেছে।
উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া কার্গোর তলা মেরামত কাজ শুরু করেছে। কার্গোর তলার ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শেষ হলে কার্গোটি চালানো সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, আর তা সম্ভব না হলে আরো দু’টি বড় কার্গো ডুবন্ত কার্গোটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০দিন সময় লাগবে বলে মালিক পক্ষ তাদের জানিয়েছে।
এদিকে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তাদের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার নাগাদ তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
এমভি জাবালে নূর মংলা বন্দর থেকে মিউরেট অব পটাশ সার নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি যাচ্ছিল। গত ৩ মে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর মরাভোলার চরে আটকা পড়ে কার্গোটি। ৫ মে কার্গোটি উদ্ধার করার সময় তলা ফেটে ডুবে যায়।