মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌ-রুট মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণ জোয়ারের সময় আবারো পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শুরু করে এ পথে।
প্রাথমিক অবস্থায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট দিয়ে জোয়ারের সময় কেবল মাত্র ছোট আকারের নৌযান চলাচলে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।
শুক্রবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-রুট সংস্কার কাজ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রকৌশলী এ এইচ এম ফরহাদ-উজ জামান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।
তিনি জানান, প্রথম দিনে (বৃহস্পতিবার) পূর্ণ জোয়ারের সময় এ রুট দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ২১টি ছোট আকৃতির পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করেছে। প্রাথমিক অবস্থায় কেবল ৭ ফুট গভীরতার জাহাজগুলো পূর্ণ জোয়ারের সময় চলাচল করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নৌ চলাচল মনিটরিং করছেন।
পলি জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক এই নৌ-রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর নৌপথটি পুনরায় চালু করতে ২০১৪ সালের পহেলা জুন থেকে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ পথে খনন কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের ৪৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে ফরহাদ-উজ জামান জানান।
আগামী জুনের মধ্যে নৌ-রুটটি পুরোপুরি চালু করতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানও সাংবাদিকদের পরীক্ষামূলকভাবে চ্যানেলটি চালু হওয়ার কথা জানান।
২০১৪ সালের ০৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শেলা নদীতে সাড়ে ৩ লাখ লিটারেরও বেশি ফার্নেস অয়েলবাহী একটি জাহাজ (ট্যাঙ্কার) ডুবে যায়। এতে পরিবেশ দূষণের ব্যাপক আশঙ্কার মধ্যে শ্যালা নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি ওঠে।
এর পাঁচ মাসের পাথায় গত ৫ মে আবারো সুন্দরবনের মরা ভোরা নদীতে ৬৭০ মেট্রিক টন এমওপি (পটাশ) সারবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে আবারো সুন্দরবনের ভেতরে জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি জোরালো হয়েছে।
অবশ্য অয়েল ট্যাঙ্কার ডুবির পর চলতি বছরের জুনের মধ্যে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী।
সে আশাবাদ পূণ: ব্যক্ত করে শাজাহান খান বলেন, জুন মাসের মধ্যে এ রুট পুরোপুরি চালু করার চেষ্টা চলছে।
“এই রুটে পরীক্ষামূলকভাবে জুন মাস পর্যন্ত জাহাজ চলাচল করবে। এটি সফল হলে শ্যালা নদী দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে”।