বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আটকের পর এক জুয়াড়ীর ১৯ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমান আদালত ওই ব্যক্তিসহ ৪জনকে তিন মসের কারাদন্ড দিয়েছে।
শুক্রবার (০১ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিমের নিকট প্রকাশ্য আদালতে এ অভিযোগ দেন আটক জুয়াড়ী হারুণ হাওলাদার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টায় মোরেলগঞ্জ উপজেলার মহিশপুরা এলাকায় যাত্রাগানে জুয়ার আসর বসানোর দায়ে চার জুয়াড়ীকে আটক করেন ইউএনও।
এরা হলেন- বাগেরহাটের খানজাহান আলী গ্রামের হারুণ হাওলাদার (৫০), কেরানীগঞ্জের মৃত আফছার আলীর ছেলে আরমান আলী (৫১), খুলানর মৃত ওয়াজেদ শেখের ছেলে আনিছ শেখ (২৩) ও পিরোজপুরের কুমারিতলা গ্রামের মৃত আ.হামিদ ফকিরের ছেলে কালাম ফকির (৫০)।
জুয়ার আসরের টাকা লগ্নীকারি হারুণ হাওলাদারের অভিযোগ, তাদের আটক করার সময় পুলিশ ছিলনা। নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের ৪র্থ শ্রেণির কতিপয় কর্মচারীরা তাদের আটক করেন। এ সময় জুয়াড়ীদের দেহ তল্লাশী করে ১৯ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ইউএনও’র কর্মচারীরা।
শুক্রবার (১ মে) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতে বিষয়টি উত্থাপন করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও আব্দুল হালিমে।
পরে আটক চার জুয়াড়ীর প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।
এদিকে, একই দিন সকালে আটক মহম্মদ আলী মন্টু শেখ (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১ বছরে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোরেলগঞ্জের ইউএনও মো. আব্দুল হালিমের এই রায় দেন। মন্টু শেখ উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামের ছরোয়ার শেখের ছেলে।