সন্ত্রাসী হামলায় বাগেরহাটে আওয়ামীলীগ কর্মী রাজা শেখ নিহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের কয়েকটি বসতঘরে আগুন দেয় কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসময় স্থানীয় ফরিদ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও আল-আমিনের বাড়ির চারটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।
আগুন দেওয়া ঘর মালিকদের মধ্যে শেখ শহীদুল ইসলামকে গতকাল (সোমবার) মোজাফফর রহমান ওরফে রাজা শেখ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে রাজা শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। ওই দিন বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পূর্ব শত্রুতার এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষরা রাজাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে নিহত রাজার লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
বিক্ষোভ মিছিলে অনান্যের মধ্যে অংশ নেন- বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাসুদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মুজিবর রহমান, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল বাকি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম প্রমুখ।
মিছিল থেকে হত্যাকান্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
এর আগে সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্নের পর রাজার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাজা নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে। দুপুরে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।