নিহতের বড় ভাই সোহাগ হাওলাদার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, “রবির সঙ্গে বিয়ে সংক্রান্ত একটা বিষয় নিয়ে আমার পূর্ব বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে আমার ও আমার ভাইয়ের বাকবিতণ্ডা হয়।”
ওই বিরোধের জের ধরে রবি ও তার সঙ্গীরা মেলার মাঠে সোহেলকে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোহাগ আরও বলেন, “শুক্রবার রাতে কাজ শেষে দুই ভাই একসঙ্গে বৈশাখি মেলায় যাই। আমি আগে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি আসার কিছু পরেই মেলার মাঠ থেকে একজন ফোন করে সোহেলের পেটে ছুরি মারা হয়েছে বলে জানায়।
এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহেলের মৃত্যু হয়।”
পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুব বলেন, ছুরিকাঘাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সোহেলের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলা নর্ববষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ থেকে (১৪ এপ্রিল) শহরের শালতলা এলাকার জেলা পরিষদ চত্বরে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার শুরু হয়। মেলায় বাহারি পরসা নিয়ে অর্ধশতাধিক দোকান, র্যাফেল ড্রসহ বিনোদনের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
এ সুযোগে শহরের বেশ কিছু বখাটে কিশোর-যুবক প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীররাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে আড্ডা দিতো বলে একটি সূত্র জানায়। মেলায় উঠতি বয়সি বখাটেদের অবাধ বিচরণের কারণেই জনকোলাহল পূর্ণ মেলার মাঠে পুলিশ পাহারার মধ্যে এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ :: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এজি/আই হক–এনআর এ/বিআই