বাঙ্গালীর প্রাণের মেলা বাংলা নববর্ষ। বর্ষ বরণকে ঘিরে এবারো বাগেরহাটে আয়োজন করা হয়েছে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের।
বাংলা নববর্ষ ১৪২২ বরণে জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পহেলা বৈশাখ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৭টায় বাগেরহাট জেলা স্টেডিয়ামে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
পরে স্টেডিয়াম থেকে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের অংশ গ্রহনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। এছাড়া আয়োজন করা হয়েছে নৌকা বাইচ, ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খেলা ও র্যা ফেল ড্র এর।
বর্ষ বরণ ও বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যান ও জেলা পরিষদ মাঠে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজসজ্জার কাজ।
সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার মাঠে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা।
বাগেরহাটের অংকুর সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি শেখ কামাল আহমেদ বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এই দিনটির জন্য বছর ভর অপেক্ষায় থাকি। পহেলা বৈশাখ বাঙালীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মেল বন্ধন।
বর্ষবরণ উপলক্ষে এবছর শহরের ১৯টি সাংস্কৃতিক সংগঠন মেলা চলাকালে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লালনগীতি, পল্লীগীতি, যাত্রাগান, পালাগান, পটগান, জারিগান, কবিগান ও পদাবলী কীর্ত্তণ গান পরিবেশন করবে।
বাগেরহাটে বৈশাখী মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে মুক্ত করো হে বন্ধ’ এই স্লোগানকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ দিনব্যাপী সবার প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বাগেরহাট যাদুঘর। বর্ষবরণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এই দিন থেকে ৭দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
এছাড়া বাংলা ১৪২২ নববর্ষ উপলক্ষে জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন করা হবে।