বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক ভন্ড ওঁঝাকে অর্থসহ কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ রোগীকে।
দন্ডপ্রাপ্ত কথিত ওঁঝা আজিজ হাওলাদার ওরফে রুহানি হুজুর (৫৫) মোরেলগঞ্জে উপজেলার খাউলিয়া গ্রামের মৃত হাকিম হাওলাদারের ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ (জরিমানা) এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত রোগীদের ৩৯ হাজার ৫শ’ টাকা ফেরতও নির্দেশ দেন আদালত।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিম এ দন্ড দেন।
এসময় কথিত ওই ওঁঝার বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত তিন রোগী হলেন- জয়নাল আবেদীন আকন (৫০), কহিনুর বেগম (২৫) ও ফারজানা আক্তার (১২)। তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার চরপাড়া গ্রামে।
এক হাত ও এক পা ভাঙ্গা উদ্ধারকৃত রোগী জয়নাল আবেদীন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তিনি ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে এখানে ১ মাস পূর্বে ভর্তি হয়েছেন। এক মাসে ২৮ হাজার টাকা তার নিকট থেকে নিয়েছে ওই ওঝাঁ।
অপর রোগী কহিনুর বেগম কিডনীর চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন ৮ হাজার ও ফারজানা আক্তার গলগন্ড রোগ থেকে সুস্থ হবার জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিয়েছেন।
ইউএনও মো. আব্দুল হালিম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, চিকিৎসার নামে প্রতারণার আশ্রয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার কথিত ওঁঝা আজিজের বাড়িতে অভিযান চালান হয়।
এ সময় ওই বাড়ি থেকে তিন রোগীকে উদ্ধার করেন তারা।
দীর্ঘদিন এখানে চিকিৎসার নামে আটক থাকার পরেও কারো কোন উন্নতি না হওয়ায় বিষয়টি গোচরে আসায় এখানে অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই দন্ড দেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও আব্দুল হালিম।
এর আগে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে বল্যবিয়ের অপরাধে আমিনুল ইসলাম রিমন (২৩) নামে এক যুবককে এক মাসের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
রিমন মোরেলগঞ্জ উপজেলার শ্রেনিখালী গ্রামের সোবাহান খন্দকারের ছেলে।
কনের বয়স ১৮ বছর না হতেই বিয়ে করার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম রিমনকে কারাদন্ড দেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জন্ম সনদ অনুযায়ী কনের বয়স ১৭ বছর ১০ মাস ২৬ দিন। অর্থাৎ ১৮ বছর পূর্ণ হতে ওই কোনের এখনো ১ মাস ৪দিন বাকী রয়েছে।