বাগেরহাটের ফকিরহাটে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের মৌভোগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আটক মাসুম গাজীর (২০) বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার (০১ এপ্রিল) বিকালে আদালতে হাজির করার পর মাসুম গাজীকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মাসুম গাজী মৌভোগ গ্রামের গাজীপাড়ার রজ্জব আলী গাজীর ছেলে এবং স্থানীয় একটি কারিগরি কলেজের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে অসুস্থ শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে টিফিন ছুটিতে বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে আবার স্কুলে যাচ্ছিল তার মেয়ে। পথে তাদের প্রতিবেশী মাসুম গাজী তাকে রাস্তার পাশে আনিসের চিংড়ি ঘেরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওই সময় মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং মাসুমকে ধরে পিটুনি দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং ফকিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজগর আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, স্কুলপড়ুয়া আট বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা এক তরুণকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম নামের ওই যুবক শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান এসআই আজগর।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আএমও) মাইনউদ্দিন মোল্লা বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রামের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে চার যুবক।
এরপর ১২ মার্চ একই উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামের কালিগঞ্জ নদীতে নৌকায় নিয়ে এক বিধবা নারীকে (৩২) ধর্ষণ করে চার যুবক।