বাগেরহাটের রামপালে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু রাজু-ফরহাদ বাহিনীর উপ-প্রধান কামরুল শেখ (৩৫) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রামপালের কাটাখালী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুল শেখ (৩৫) বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি কাটাখালী গ্রামে তার মামা রামপাল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদারের বাড়িতে থাকতেন।
র্যাব-৮ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ৮টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭৮ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের বনদস্যু রাজু-ফরহাদ বাহিনীর উপ-প্রধান কামরুল শেখের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল সুন্দরবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে রামপালের কাটাখালী এলাকায় অবস্থান করছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে র্যার-৮ এর একটি দল সেখানে অভিযানে যায়।
ঘটনাস্থালে পৌঁছালে দস্যুরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় আত্মরক্ষায় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে দস্যু বাহিনী পিছু হটলে র্যাব সেখানে তল্লাসি চালিয়ে কামরুলে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী এসে বনদস্যু কামরুলকে সনাক্ত করে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৬টি সিঙ্গেল ব্যারেল (একনলা) বন্দুক, একটি কাটা রাইফেল ও একটি বিদেশি এয়ারগান এবং বিভিন্ন ধরনের ৭৮ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে র্যাব।
১০ রাউন্ড গুলির খোসা ছাড়াও উদ্ধারকৃত গুলি মধ্যে রয়েছে ৩২ রাউন্ড পয়েন্ট টুটু বোর রাইফেলের গুলি, ২৫ রাউন্ড এয়ারগানের গুলি, ২১ রাউন্ড অনান্য আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি।
সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের অপহরণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে নিহত কামরুল শেখের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের রামপাল ও খুলনার দাকোপ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
নিহত দস্যুর লাশ ও অস্ত্র-গুলি রামপাল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।