অপরিকল্পিতভাবে মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল খননের অভিযোগ করে অর্থবহ ড্রেজিংয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে মংলা প্রেসক্লাবে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই চ্যানেলে পরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের দাবি করে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে খননের ফলে একদিকে যেমন মংলা ও পশুর নদীর মোহনা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মংলা শহর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশও মানা হচ্ছে না।
মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলকে সচল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্প্রতি ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর একটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। বিআইডব্লিউটিএ ঘষিয়াখালী-রামপাল অংশে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া মংলা নদীর মূল চ্যানেল মোহনা থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করে ভরাট হয়ে যাওয়া মূল চ্যানেলটি ড্রেজিং করতে হবে। কিন্তু মংলা নদীর ভরাট হওয়ায় মূল চ্যানেল খনন না করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে মংলা শহর সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে মংলা শহর নদীতে বিলীনের ঝুঁকি বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, নদীর পাড়ে মাটির ভেড়িবাধ না দিয়ে বালুর বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ড্রেজিং করা মাটি ফেলায় বালুর বাঁধ ধসে তা পুনরায় নদীর মুল চ্যানেলে গিয়ে পড়ছে। গত ৩দিন ধরে চ্যানেলটির নৌ বাহিনীর ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় তৈরি বালুর ভেড়িবাধ ধসে পড়ে পশুর ও মংলা নদীর ত্রি-মোহনা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। ড্রেজার কর্তৃপক্ষ ধসে পড়া বাধ মেরামত না করে তাদের ড্রেজিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলে মংলা নদীর মূল চ্যানেলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম, মংলা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদ কাজী গোলাম হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক নূর উদ্দিন আল মাসুদ প্রমুখ।