নদী থেকে আহরণ নিষিদ্ধ পারশে মাছের পোনা সংগ্রহের অভিযোগে বাগেরহাটে আটক ৫৩ জেলের মধ্যে ৫২ জনকে দন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টা দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল হালিম এই আদেশ দেন।
এছাড়া আটককৃতদের মধ্যে একজন শিশু থাকায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাকি ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জেলের প্রত্যেককে একহাজার টাকা করে অর্থ দন্ড (জরিমানা) এবং একজনকে একই অপরাধ দ্বিতীয় বার কারার দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় ভ্রামমান আদালত।
তবে, রাত ২টার দিকে জরিমানা করা জেলেদের অবৈধ ওই রেনুপোনাসহ ছেড়ে দেয়া হয়।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত লিটন জোয়ার্দার (২৭) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী গ্রামের সিরাজুল জোয়ার্দারের ছেলে। জরিমানা (অর্থ দন্ড) হওয়া বাকি জেলেদের বাড়িও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার পানগুছি ও বলেশ্বর নদীর মোহনা থেকে পোনা সংগ্রহের সময় ১ হাজার কেজি ফাইশ্যা (পারশে) মাছের পোনা, পাঁচটি ট্রলার ও ১২ হাজার মিটার নিশিদ্ধ সিম ফ্লাই জালসহ ৫৩ জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড।
পরে পোনা, ইঞ্জিন চলিত ট্রলার ও জালসহ আটক জেলেদেরকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ ইয়াকিন আলীর উপস্থিতিতে ইউএনও এর কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে বলে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার গোলাম রাব্বানী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও আব্দুল হালিম জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৩ (ঙ) ধারায় আটককৃতদের অর্থদন্ড ও জরিমানা করা হয়।
তবে উদ্ধারকৃত এক হাজার কেজি ফাইশ্যা মাছের পোনা নিয়ম অনুযাই নদীতে অবমুক্ত না করে জরিমানা করা জেলেদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এব্যপারে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ ইয়াকিন আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পোনা ও ইঞ্জিন চালিত ৫টি ট্রলারসহ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। উদ্ধারকৃত পোনা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার নিয়মের বিষয়টিও স্বিকার করেন তিনি।
প্রতিকেজি ৭শ’ টাকা করে উদ্ধারকৃত এক হাজার কেজি ফাইশ্যা (পারশে) মাছের পোনার বাজার মূল্য ৭ লক্ষ টাকা বলে জানায় কোস্টগার্ড।