মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ৪৫ তম মহান স্বাধীনতা ও জতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মংলা বন্দর বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দিনটি শুরু করে। বন্দরে অবস্থানরত দেশী-বিদেশী এবং কর্তৃপক্ষের সকল জাহাজে এক মিনিট বিরতিহীন হুইসেল প্রদান, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মংলাস্থ স্মৃতিসৌধে পুষ্প স্তবক অর্পন, ভলিবল প্রতিযোগিতা ও কর্তৃপক্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর সভাকক্ষে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে কর্মরত ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজউদ্দীন আহমেদ, বিএসপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিএন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) হাওলাদার জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (পরিচালন) মোঃ আলতাফ হোসেন।
সভায় আরো উপন্থিত ছিলেন মবক এর বিভাগীয় প্রধানগণ, বন্দরের কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত সকলের মাঝে ৭১ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো স্মৃতিচারণ করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং তারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাবা বন্দরের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করেন।
মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সালাম বলেন- “সমাজের এক শ্রেণীর কুচক্রীমহল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার মাধ্যমে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে”।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল রিয়াজউদ্দীন আহমেদ বলেন- “বাংলাদেশে যতদিন থাকবে মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আমি মনে করি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস উঠে আসবে”।
অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্দরের অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি