বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে উদযাপিত হয়েছে ৪৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৫। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতি স্মরণ করছে তার সূর্য সন্তানদের।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সূর্যদয়ের পর বাগেরহাট পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এর পর সকাল ৬টায় শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ এবং শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে জাতীর শ্রেষ্ট সন্তানদের শ্রদ্ধানিবেদন করেন- জেলা প্রশাসন, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনেতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে প্রতিবারের ন্যয় এবারও নানা কর্মসূচির আয়োজন করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ভোর থেকে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।
সকাল ৮ টায় বাগেরহাট জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ভাবে স্বাধীনতা দিবস কুচকাওয়াজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম।
এতে অংশ নেয় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার, স্কাউটস, রোভার ষ্কাউটস ও বিএনসিসি’র সদস্যরা। সম্মিলিত মার্চ পাস্টের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তারা।
এসময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে মার্চ পাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন- বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক ম্যোল্যা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হেপী বড়াল ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু।
মার্চ মাস্ট শেষে শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন আকাশে উড়িয়ে শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
পুরস্কার বিতরণী শেষে বেলা ১১টায় স্টেডিয়ামে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর ও জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।
এছাড়া দিনটি উপলক্ষে বিকালে প্রীতি ফুবল ম্যাচ এবং সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসান।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা কারাগার, সরকারী হাসপাতাল ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বর্ণিল আলোক সজ্জা করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনসমূহে।