বাগেরহাটের ফকিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে চলছে ইট, বালু ও কাঠের ব্যবসা। ফলে বাড়ছে দূর্ঘটনা ও দূর্ঘটনা ঝুঁকি।
দীর্ঘ দিন ধরে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাইড সোল্ডার দখল করে প্রভাবশালীদের রমরমা ব্যবসা চলেও পুলিশ এবং প্রশাসন দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। খুলনা-মংলা, খুলনা-বাগেরহাট সড়কে তাই প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
জানা যায়, খুলনা-মংলা মহাসড়কের কাটাখালী, চুলকাঠি, ভরসাপুর, ফয়লা, চেয়ারম্যান মোড়, ভাগা ও দিগরাজ বাসস্ট্যান্ড। খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের কাটাখালী, কাঠালতলা, সিএন্ডবি বাজার, বারাকপুর ও ষাটগুম্বজ বাসস্ট্যান্ড। পুরতন রুপসা-বাগেরহাটসহ অনান্য সড়কের যাত্রাপুর, বাহিরদিয়া, কাজদিয়া, কর্ণপুর, শুকদাড়া সড়কের বেতাগা বাজার, ভাংগনপাড়া বাজার, গৌরম্ভা বাজারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় দখল করে বিভিন্ন মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে।
স্থানীয়দেরা অভিযোগ, রাস্তার দুই পাশে সাইড সোল্ডার দখল করে এমন অবৈধ ইট-বালু ও কাঠ ফেলে রাখায় রাস্তা সংঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে, বিভিন্ন স্থানে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
কোন কোন স্থানে একধিক প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত রাস্তার উপর কাঠ ফেলে রেখেছে। এজন্য পথচারী বা যানবাহন চালকরা কিছু বলতে গেলে উল্টো কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে শারীরীক ও মানষিক ভাবে নাজেহাল হতে হয়, বলে অভিযোগ আছে।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন এসব সমস্যা উপলব্দি করলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় হতাশ যানবাহন মালিক, পথচারী এবং স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের ওই সব এলাকায় রাস্তার উপর ইচ্চামত ট্রাক পিকাপ দাড় করিয়ে মালামাল লোড আনলোড করলেও পুলিশ প্রশাসন দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন। শুধু তাই নয়, গ্রামের ছোট ছোট কাচাপাকা রাস্তা দিয়ে ১০চাকা বিশিষ্ট বিশাল আকৃতির ইট বালুর বুঝাই ট্রাক ও কাঠের ট্রাক প্রবেশ করে রাস্তার সিমাহীন ক্ষতি করছে।
এতে গ্রাম্য রাস্তা গুলি খুব অল্পদিনের মধ্যে ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
এব্যাপারে বাগেরহাট (কাটাখালী) হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোঃ আব্দুল মান্নান ফারাজীর বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গ্রাম্য রাস্তার দায়িত্ব তাদের নয়। তবে মহাসড়কের বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের সর্তক্য করেছিলেন।
কিন্তু তাতে তেমন কোন কাজ হয়নি। তাই অচিরেই উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাব হচ্ছে।