চিতলমারীর পর এবার বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার নলধা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
সশস্ত্র ডাকাত দল এসময় ওই বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে ২১ ভরি স্বর্ণের গহণা, নগদ দুই লাখ টাকা এবং ৪টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার দিবাগত গভীর রাতে ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের নলধা গ্রামে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন গৃহবধূসহ ওই বাড়ির ৩ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জাহিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তবে পুলিশ এই ডাকাতির ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ির গৃহকর্তা গৃহকর্তা শাহাদাত আলী সরদার (৮০), তার ছোট ছেলে পাট ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান (৩৮) ও তার স্ত্রী হাবিবা রহমান (২৫)।
ফকিরহাট বাজারের মেসার্স তানিক ট্রেডার্সের মালিক এস এম আরিফুজ্জামান দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, গত রাত আড়াইটার দিকে ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল আমাদের বাড়ির সামনে দরজার তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢোকে। এসময় আমার বাবা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর তালা ভাঙ্গার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন তারা ডাক চিৎকার শুরু করলে আমরা সবাই উঠে পড়ি।
তখন ওই ডাকাত দল আমার বাবা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে আমরা দুই ভাই জীবন বাঁচাতে বাড়ির ছাদে চলে যাই। এসময় ডাকাতরা ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে আলমারি ভাঙ্গে।
সশস্ত্র ওই ডাকাত দল আমার ঘরের আলমারি ভেঙ্গে ১৩ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং আমার ছোট ভাই আতিকের ঘর থেকে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণের গহণা ও নগদ এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির কথা স্বীকার করে বাগেরহাট সদর সার্কেলের এএসপি মো. জাহিদুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ব্যবসায়ী আরিফুজ্জামানের বাড়িতে ডাকাতি খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ অন্তত কুড়ি ভরি স্বর্ণের গহণা নিয়ে গেছে।
এঘটনায় আরিফুজ্জামানেরে ছোট ভাই মো. আতিকুর রহমান বাদি হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলা দয়ের করেছেন। জড়িতদের সনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, একের পর এক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আত্মংঙ্ক বিরাজ করছে।