বাগেরহাটের রামপালে স্বামীহারা এক নারীকে (৩২) অপহরণের পর গনধর্ষণের প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের সাধনার মোড়ে ওই ধর্ষণের ঘটনার ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে হিন্দু কমিউনিটির কয়েকটি সংগঠন।
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ,ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ, মহিলা হিন্দু পরিষদ এবং আইনজীবী পরিষদ যৌথভাবে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। যাতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেয় জেলা মহিলা পরিষদ, চেম্বার অব কমার্স, ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ ও হিন্দু মহাজোটের নের্তৃবৃন্দ।
মানববন্ধন শেষে তারা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মানববন্ধন থেকে নের্তৃবৃন্দ রাতের অন্ধকারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশ থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে গনধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান হয়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন তারা।
মানববন্ধনে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিব প্রসাদ ঘোষ, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন ব্যানার্জী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত রায়, সাধারন সম্পাদক অবণীশ চক্রবর্ত্তী, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সরদার মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি সরদার ওমর ফারুক, মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ফরিদা রহমান, সাধারন সম্পাদক শিল্পী সমাদ্দার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের ডাকরা গ্রামে ধর্মীয় (মহানামযজ্ঞ) অনুষ্ঠানের পাশ থেকে চার দুর্বৃত্ত স্বামীহারা ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে নৌকায় নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার ৬ দিন পর গত মঙ্গলবার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পাশ্ববর্তি কুমারখালী গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অবরুদ্ধ থাকা ওই নারীর বোনের বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
ওই নারী বর্তমানে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।