বাগেরহাটের মংলায় সেনাকল্যাণ সংস্থার সিমেন্ট ফ্যাক্টরির নির্মাণাধীণ ভবন ধসে আহত আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ভবন ধসে ৮ শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
সোমবার গভীর রাতে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএসএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত শিহাব হোসেন (২৫) বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার মংলায় সেনাকল্যাণ সংস্থার এলিফ্যান্ট ব্রান্ড সিমেন্ট কারখানার চারতলার সমান উঁচু নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ঢালাই চলছিল। ওই দিন দুপুরে আকস্মিকভাবে ঢালাই চলাকালে ভবনের ছাদ ধসে ৭ নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে মংলা বন্দর হাসপাতাল, রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সিএমএইচ-এ পাঠানো আহত ৫ জনের মধ্যে সোমবার রাতে একজন মারা গেছেন।
শিহাবের মামা রুহুল আমিন জানান, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে শিহাবকে যশোর সিএসএইচ-এ আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সেনা সদস্যরা শিহাবের মরদেহ যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসেন এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এদিকে, ভবন ধসের পর দিন (শুক্রবার) সকালে ধ্বংসস্তুপে নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা নিহত শ্রমিকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি হলেন নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের প্রয়াত মো. মোমিনউল্লাহ’র ছেলে নুর মোহম্মদ (২৫)।
মংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহি বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম এসে নুর মোহম্মদের মরদেহ দেখে সনাক্ত করে। পরে নুর মোহম্মদের লাশ তার স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।