বাগেরহাটের মংলায় সেনাকল্যাণ সংস্থার এ্যালিফ্যান্ট ব্রান্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির নির্মনাধীন ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি।
শনিবার তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফারুক হোসেনের নের্তৃত্বে ৯ সদস্যের তদন্ত দল ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত কাজ শুরু করে।
আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটির তদন্ত শেষ করে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
কমিটির সদস্য বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (ডিডি) মো. শাহ আলম সরদার শনিবার রাতে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে নয় সদস্যের তদন্ত দল প্রথমে ধ্বসে যাওয়া ভবন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে ওই ভবনের নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আইটিসিএল -এর কর্মকর্তা, সেনাকল্যাণ সংস্থার এ্যালিফ্যান্ট ব্রান্ড সিমেন্ট কারখানার কর্মকর্তা এবং ভবন থেকে পড়ে আহত বাগেরহাটের মংলা বন্দর হাসপাতাল ও রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নির্মাণ শ্রমিক এবং শ্রমিক সরবরাহকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
আমাদের সঙ্গে গনপূর্ত বিভাগের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয়ে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। কার অবহেলায় কি কারণে ভবন ধসে পড়লো তা খতিয়ে দেখতে কমিটি সবেমাত্র কাজ শুরু করেছে। আরও ২-১ দিন কাজ করলে ভবন ধ্বসের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছি।
এই কমিটিতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি’র প্রতিনিধি, খুলনা গনপূর্ত বিভাগের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক এবং নির্বাহী প্রকৌশলী, সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি, খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক, বাগেরহাট স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি রয়েছেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ জানান, ভবন ধ্বসের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে নয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার থেকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ফারুক হোসেনের নের্তৃত্বে নয় সদস্যে ওই তদন্ত দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত. গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের মংলা শিল্প এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার মালিকানাধীন এলিফ্যান্ট ব্রান্ড সিমেন্ট কারখানার নির্মাণাধীন চারতলার সমান উঁচু একটি মিলিং হাউজের ছাদ ধ্বসে সাত নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন।