টাইগারদের আজকের জয়ে প্রথম বারের মতোন বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অসাধারণ ক্রিয়ানৈপুর্ণে এই জয়ে আনন্দ জোয়ার বইছে জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনের জন্মস্থান বাগেরহাটে।
বাগেরহাটের ছেলে রুবেলের পেস এ্যাটাকে ইংল্যান্ডের শেষ দুই উইকেট পড়ে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় বাংলাদেশ। খেলা শেষ হতেই আনন্দের শহরে পরিণত হয় বাগেরহাট। আনন্দে মাতোয়ারা ছেলে বুড়ো সবার চোখে মুখেই কেবল জয়ের উল্লাস।
সোমবার (০৯ মার্চ) সন্ধার পর থেকে শহরের বিভিন্নস্থানে জাতীয় পতাকা নিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ক্রিকেট প্রেমি বাগেরহাটবাসী। এসময়ে রুবেল-রুবেল, বাংলাদেশ-বাংলাদেশ শ্লোগানে শহর মাতিয়ে তোলে তারা।
সন্ধায় পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল, মোটর শোভাযাত্রা করে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেছে ক্রিকেট প্রেমিরা।
এদিন পড়ন্ত বিকেলে বাগেরহাট শহরের প্রায় সব সড়কেই থেমে যায় কর্মব্যস্ততা। সবার চোখই তখন টিভির পর্দায়।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে ইংলান্ডের বিপক্ষে খেলার শেষ দিকে তামিম ইকবালের ক্যাচ মিসের পর সারা বাংলাদেশের মতো চিত্তায় পড়ে বাগেরহাটের দর্শকরাও। এর পর বাগেরহাটের ক্রিকেটার রুবেলের ওভারের প্রথম বলে ইংলান্ডের ৯ম ইউকেটের পতন। সেই থেকেই ক্রিকেট প্রেমিদের মাঝে শুরু হয় বিজয় উৎসব।
এদিকে জয়ের পর বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায় রুবেলের বাড়িতে এক আনন্দ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে।
‘রুবেল তার যোগ্যতা দিয়েই ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দেওয়ায়’ তার বড়-ভাবী আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। জয়ের পর রুবেলের ভাবী তাদের বাড়ীতে আশা রুবেল ভক্তদের মিষ্টি খায়িয়েছেন।
এদিকে আজকের খেলায় রুবেলের অনাবদ্য সাফল্যের পর বাগেরহাটবাসী বলছে, নিন্দুকের সব প্রশ্নের জবাব ক্রিড়ানৈপুর্ণ দিয়েই প্রমান করেছে রুবেল।
দিন ভার শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে টিভির পর্দায় বাংলাদেশের জয়ের প্রত্যাশায় চোখ রাখা দর্শকারা বলেছেন, আবারও বাংলাদেশকে হ্যাপি করল রুবেল।
সাধারণ দর্শকরা বলছেন, আজকের জয়ের পর ক্রিকেট বিশ্বে আবারো নতুন করে চিনলো বাংলাদেশকে। যোগ্যতর দল হিসেবে ইংলান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল বাংলাদেশ। আর সেই জয় এলো বাগেরহাটের কৃতি সন্তান পেসার রুবেলের হাত দিয়েই।
বাগেরহাটের খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক ও জেলা ক্রিড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-কমিটির সম্পাদক খোন্দকার আছিফ উদ্দিন রাখি বলেন, রুবেল আমাদের গর্ব। যোগ্য দল হিসেবে বাংলাদেশ কোয়াটার ফাইনালে উঠেছে। গোটা দেশ আজ আনন্দে উল্লাসিত -বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছানের ঘটনা আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যরকম স্মরনিয় দিন।
আমরা আশা রাখি কোয়াটার ফাইনাল পেরিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ দল।
তৎক্ষনিক ভাবে আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও জেলা ক্রিকেট কমিটির সভাপতি খান হাবিবুর রহমান বলেন, বাগেরহাটের রুবেলের কৃত্বিতপূর্ন বলিংয়ের জন্যই বাংলাদেশের জয় এসেছে। আজ আমি গর্বিত আমার বাসা রুবেল বাড়ি পাশে।
রুবেল আর বাংলাদেশ মিলে একাকার হয়ে গেছে আনন্দে। আমারাও এর ভাগিদার। বাগেরহাটবাসির পক্ষ থেকে এসময় তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান।