বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে পাঁচটি হরিণ ও একটি গন্ধগোকুলের চামড়াসহ এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (০৪ মার্চ) বিকালে পুলিশ ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রাম থেকে এসব চামড়া উদ্ধার করা হয়।
এ সময় আব্দুর রশিদ শেখ (৫০) নামে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালী ইউনিয়নের পুঁটিখালী গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া হরিণের চামড়াগুলো লম্বায় ৩/৪ ফুট। হরিণগুলো প্রাপ্ত বয়স্ক ছিল এবং গন্ধগোকুলের (লারজ ইন্ডিয়ান সিভিট) চামড়াটি লম্বায় ৩ ফুট।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান হয়েছে।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাটের বেশ কয়েকটি সংঙ্ঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে বিরল প্রজাতির হরিণ, বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করে এদের মূল্যবান অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও চামড়া পচার করে আসছে। এমন একটি চক্রকে ধরতে বনবিভাগ নজরদারি করে আসছিল।
ওই পাচারকারী চক্রটি রাজধানী ঢাকার একটি গ্রুপের কাছে বাঘ ও হরিণের চামড়া বিক্রি করবে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তারা অভিযানে যায়। বিকালে কচুবুনিয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে বিক্রির উদ্যেশে ওই চামড়া নিয়ে যওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে, তার কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে পাঁচটি হরিণের চামড়া এবং একটি গন্ধগোকুলের চামড়া উদ্ধার করা হয়। ঢাকার একটি পাচারকারী চক্রের কাছে চামড়াগুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে রশিদ।
উদ্ধার হওয়া চামড়ার মধ্যে হরিণগুলো অন্তত এক মাস আগে এবং বিরল বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির গন্ধগোকুলটি এক সপ্তাহ আগে হত্যা করা হতে পারে বলে বাগেরহাট ইনফোকে জানিয়েছেন বনবিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক।
বাগেরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহিদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ও বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযানে পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাচারকারী ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এব্যাপারে বনবিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।