বাগেরহাটের রামপালে তরুণীকে (১৭) ধর্ষণে অভিযুক্ত আরও দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (০১ মার্চ) দুপুরে জেলার ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের খাজুরা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- খাজুরা গ্রামের মোসলেম খানের ছেলে ইউসুফ খান সেন্টু (৩২) এবং একই গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে শেখ গোলাম রসুল (২০)।
এই নিয়ে এ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করল বাগেরহাটের রামপাল থানা পুলিশ।
এদিকে রোববার বিকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসে খুলনার বটিয়াঘাটার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রামের ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন।
রাতে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং সেলিম মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। সেলিম মোল্লা (২৪) গৌরম্ভা গ্রামের আমানত মোল্লার ছেলে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামের একটি বাগান থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করে। সেসময় ঘটনাস্থল থেকে সেলিম নামে এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার পর মেয়েটি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শনিবার সকালে সেলিম ও তার তিন বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করে।
রামপাল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহম্মদ শাহ আলম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সেলিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফকিরহাট উপজেলার খাজুরা গ্রাম থেকে ইউসুফ খান সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই গ্রাম থেকে গোলাম রসুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এসআই শাহ আলম।
তিনি আরও বলেন, সেলিম মোল্লার মামা ইউসুফ খান সেন্টু। তারা চারজনে মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং ধর্ষিতাও তাদের শনাক্ত করেছে।