বাবার ওপর অভিমান করে বাগেরহাটের মংলায় এক কলেজ ছাত্র গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মংলা পৌরসভার টিএ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বসে ওই কলেজ ছাত্র শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে তার শরীরের আগুন নিভিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
মো. জুয়েল হোসেন খান (২৩) স্থানীয় মংলা টেকনিক্যাল কলেজের ডিগ্রী পাস কোর্সের শিক্ষার্থী।
মংলা পৌর শহরের মোর্শেদ সড়ক এলাকার মহিদুল খানের ছেলে জুয়েল স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
মংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুর এলাহি বাগেরহাট ইনফোকে জানান, ৪ বছর আগে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে কলেজ ছাত্র জুয়েল স্থানীয় একটি মেয়েকে বিয়ে করে। ওই বিয়ে মেনে না নেয়ায় সোমবার রাতে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথাকাটাকাটি (ঝগড়া) হয়। পরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাবার ওপর অভিমান করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন দেয়।
নিহতের পিতা মহিদুল খান জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, লেখাপড়াসহ ছেলের বিয়ের বিষয় নিয়ে সোমবার রাতে কথাকাটাকাটির পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজনের ডাকচিৎকারে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছেলে সারা শরীরে আগুন জ্বলছে।
সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ভোর রাতের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
পুলিশ জানায়, আগুনে জুয়েলের সারা শরীর দগ্ধ হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে মাওয়া ঘাটে বসে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাবার ওপর অভিমান করে জুয়েল তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এসআই মঞ্জুর এলাহি জানান।