বাগেরহাটের শরণখোলায় দু’টি মাছ ধরা ট্রলার থেকে আড়াই লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধারের ঘটনায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতুল মন্ডল সমুদ্রগামী দু’টি ট্রলারের মালিককে এক লাখ টাকা করে এই জরিমানা করেছে।
এছাড়া পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় উদ্ধারকৃত (৮৭৫ কেজি/২৫ বস্তা) ওই কারেন্ট জাল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এফবি ছোট হুজুরের দোয়া ট্রলারের মালিক আব্দুর রহিম এবং এফবি ইমা ট্রলারের মালিক এমদাদুল শেখ।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীতে অভিযান চালিয়ে সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলার ‘এফবি ছোট হুজুরের দোয়া’ ও ‘এফবি ইমা’ থেকে ২৫ বস্তা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ ২৪ জেলেকে আটক করেছিল মৎস অধিদপ্তর।
শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খোন্দকার সহিদুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, জাটকা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে গত রাতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় মৎস বিভাগ বলেশ্বর নদীর কুমারখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় সমুদ্রগামী ‘এফবি ছোট হুজুরের দোয়া’ ও ‘এফবি ইমা’ নামে দুটি ট্রলার তল্লাশি করে ২৫ বস্তায় লুকিয়ে রাখা আড়াই লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পাওয়া যায়। এঘটনায় ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে আটক করা হয়।
এ সব জেলে ও ট্রলার মালিকদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
শরণখোলার ইউএনও অতুল মন্ডল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ট্রলার মালিকরাই এই দুস্কর্মের হোতা। আইন অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য ট্রলার মালিকরা জেলেদের বঙ্গোপসাগরে পাঠাচ্ছিলেন।
দুই ট্রলার মালিককে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং উদ্ধারকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মৎস্য কর্মকর্তা খোন্দকার সহিদুর রহমান বলেন, জাটকা রক্ষায় আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।