বাগেরহাটের মোল্লাহাটে র্যাকেট (ব্যাডমিন্টন) খেলা ও পূর্ব বিরোধের জেরে রুবেল কাজি (২৬) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় কমপক্ষে দু’টি বাড়ি ভাংচুর এবং আরও অন্তত ৫/৬ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষনিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গোপালগঞ্জ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত রুবেল কাজি সদর ইউনিয়নের মোল্লারকুল গ্রামের লায়েক কাজির ছেলে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে রুবেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
মোল্লাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা রাত ৯টার দিকে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শনিবার সকালে মোল্লারকুল গ্রামের স্কুল ছাত্র হাফিজুল খাকির ছেলে মুহিদ ও ফরিদ খাকি ওরফে আস্ত খাকির ছেলে খালিদের মধ্যে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুপুর ১২টার দিকে হাফিজুল তার লোকজন নিয়ে আস্ত খাজির বাড়িতে হামলা চালায়।
এ বিষয় নিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আস্ত খাকি তার লোকজন নিয়ে নিজ বাড়িতে মিটিংয়ে বসে। এই খবর পেয়ে হাফিজুল তার লাইসেন্স করা বন্দুক ও তার লোকজন নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেল কাজি মারা যায়।
ওসি খায়রুল আনাম জানান, মোল্লারকুল গ্রামের হাফিজুল খাকি ও ফরিদ খাকির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জের ধরে সন্ধার পর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে হাফিজুল তার ভাই মোশারেফ খাঁকির লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে এলোপাথাড়ী গুলি চালায়। এসময় লায়েক কাজীর ছেলে রুবেলের গুলি বিদ্ধ হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয় লোকজন রাত ৮টার দিকে গুলিবিদ্ধ রুবেলকে উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃতবলে ঘোষণা করেন।
তার বুকে অসংখ্য বন্দুকের ছরা বিদ্ধ (গুলিতে ঝাজরা হওয়া) হয়ে রয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কেউকে আটক করতে পারেনি তারা।
এদিকে ফের সংঘর্ষের আসঙ্কায় ঘটনাস্থালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।