সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজান্তে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তি প্রত্যয়নপত্র ছাপিয়ে বিক্রির বিষয়ে ৩দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালকের দপ্তর থেকে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকতাকে এ বিষয়ে দাপ্তরিক পত্র দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, দেশের কোথাও প্রাক-প্রাথমিক উত্তীর্ন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের কোন নিয়ম চালু না থাকলেও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শিক্ষর্থীদের কাছ থেকে প্রত্যয় পত্রের জন্য টাকা নেওয় হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ৫টাকার বিনিময়ে সরবরাহকৃত প্রত্যয়নপত্র শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছাতে দাম পড়েছে ১০-২০টাকা পর্যন্ত।
অভিযোগ আছে, খুলনা বিভাগের অন্য কোন জেলায় এমন প্রত্যয়নপত্রের ব্যবস্থা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলায় এই প্রত্যয়নপত্র বিক্রি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যা বলেন তা আমাদের মানতে হয়। শুধ ৫টাকার প্রত্যয়নপত্রে শেষ নয়, সারাটা বছরই চাঁদা দিতে হয়।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রতি প্রত্যয়নপত্রের জন্য ৫টাকা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ধার্য করে দিয়েছে।
তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. পারভিন জাহান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এটি সরকার পাঠিয়েছে, আমরা প্রিন্ট খরচ নিচ্ছি মাত্র। উপজেলা ভিত্তিক ইতোমধ্যে প্রত্যয়নপত্র বিতরণ শেষ হয়েছে।
ভবিষ্যতে এমনটি চালু থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আবার এক বছর পরে দেখা যাবে।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক একেএম গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার বিষয়ে সরকারি কোন ঘোষনা বা সিদ্ধান্ত জানা নেই।এব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।