বাগেরহাটের চিতলমারীতে পানি উন্নয় বোর্ডের (পাউব) বেড়িবাঁধের পাশের জলাশয় থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ জুড়ে।
কয়েক মাস ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উপজেলা সদরের কুরমুনি গ্রামের ওয়াপদা বেড়িবাঁধের পাশের সরকারি জলাশয় থেকে চলছে বালু উত্তলন। গত কয়েক মাসে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তলন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে ভয়ে এব্যপারে কেউ মুখ খুলতে চানা কেউই।
এদিকে নিয়ম না মেনে বালু উত্তলনের ফলে পাউব বেড়ি বাঁধে সৃষ্ট ফাটলের কারনে আতংকিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী দুই-তিন গ্রামের মানুষ। যে কোন সময় বন বিভাগের কয়েক শ’ গাছপালাসহ আশপাশের বসতবাড়ি ও ফসলী জমি ডেবে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসি জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেও কোন লাভ হয়নি। বন্ধ করা যায়নি বালু উত্তোলন।
বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কুরমুনি গ্রামের কৃষক স্বপন বাইন, মনমথ বিশ্বাস, রেজাউল দাড়িয়া, প্রদীপ পালসহ কয়েক জন জানান, এভাবে বালু উত্তোলন করায় বাঁধে ফাটল ধরেছে। এখন তারা চরম ভাঙন আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
এব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী সুখেন্দ্র নারায়ন জানান, বালু উত্তোলনের ফলে যেহেতু ইতি মধ্যে ফাটল ধরেছে। ওই জলাশয়ের পানি কমে গেলে আশপাশের একটি বিশাল অংশ ডেবে যেতে পারে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা চিম্ময় মধু জানান, ফাটলের অংশে তাদের সামাজিক বনায়ন রয়েছে। বালু উত্তলন এবং ফালন বিষয়টি লিখিত ভাবে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানান হচ্ছে।
চিতলমারী উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ রাশেদুজ্জামান পুকুল জানান, এই প্রভাবশালী বালু খেকোদের কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার নীরিহ এলাকাবাসি। এরা সরকারি জলাশয় থেকে প্রায় কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে ডোবা-নালা ও নিচু জায়গা ভরাটসহ মোটা অংকের অর্থ বানিজ্যে নেমেছে।
থানয় লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বিষটি নজরে আসার পরই আমরা বালু উত্তলন বন্ধ করে দেই। এটি খাস জমি।
ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলন বন্ধ করার পর আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। তিনি স্থায়ী ব্যাবস্থা নিতে পারেন বলেও জানান ওসি।
এব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দিদালুল আলমের সাথে সাথে কথা বলতে দুটি মোবাইল নম্বরে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।