২ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব জলাভূমি’ দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে নদী-খাল-জলাভূমি ও সুন্দরবন সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“ভবিষৎতের জন্য জলাভুমি” – এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রামপাল উপজেলা চত্ত্বরে কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন -বাপা ও সীডস্ যৌথ ভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানবন্ধন চলাকালে বক্তরা এলাকার নদী-খাল ও জলাভূমি গুলো উন্মুক্ত করে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দ্রুত খনন এবং সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষায় বনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল নিষিদ্ধের দাবি জানান।
বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও সিডিপি’র কোস্টাল এরিয়ার উপদেষ্টা শেখ আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে এসময় অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রামপাল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, বাপা’র সমন্বয়কারী মো: নূর আলম সেখ, সিডিপি’র খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, প্রভাষক মো: বজলুর রহমান, পিস-গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকবার আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী-খালের উপর সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে এর প্রবাহ সচল রাখতে হবে। যাতে এগুলোতে নেভিগেশন, পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারিত হতে পারে। জলাশয়নের উপর জনগনের পুরো মাত্রায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার দাবি জানিয়ে রামসার সনদে অন্তর্ভুক্ত জলাভূমি ও বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক সুন্দরবন সংরক্ষনে সকলকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
তারা অভিযোগ করেন, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয়ে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। তা দূরীকরনে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ক্লাইমেট ক্লাবের সদস্য, স্থানীয় জনগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ’ নারী-পুরুষ অংশ নেন এই মানববন্ধনে।
১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী ‘ইরানের রামসার’ শহরে ‘জলাভূমি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যাতে জলাভূমির আন্তর্জাতিক উপযোগিতার কথা তুলে ধরা হয়। এই বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী এ দিবস উদযাপিত হয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় প্রতিবছর বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।