হরতাল চলাকালে বাগেরহাটের শরণখোলায় আছিয়া বেগম (৪০) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, আছিয়া জামায়াত সভানেত্রী।
শরণখোলা থানার ওসি কাজী আব্দুস সালেক জানান, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী আছিয়া বেগমসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রাজৈর গ্রাম থেকে আছিয়া বেগমকে আটক করা হয়। তিনি শরণখোলা উপজেলা জামাতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল ইউসুবের স্ত্রী।
বাকি ১০ জনকে উপজেলার রায়েন্দা বাজারের শের-এ বাংলা সড়কের ছাত্র শিবিরের অফিস থেকে আটক করা হয়েছে। তারা সকলেই শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী বলে জানায় পুলিশ।
এরা হলেন – শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক বাগেরহাট সদরের খানপুর গ্রামের শেখ হাতেম আলীর ছেলে মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ (২৭), রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের আরব আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৪), মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোনাখালী গ্রামের নেছার আলীর ছেলে রুহুল আমীন (২৩), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান (২২), একই গ্রামের রব খলিফার ছেলে নাজমুল হাসান (২৬), বাদুড়তলা গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে আ. খালেক (২৫), বেতমোড় গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম (১৯), মঠবাড়িয়া সদরের আলী হোসেন আকনের ছেলে আল-আমীন (২৩), খুলনার বঠিয়াঘাটার ফেরদৌসের ছেলে রেজওয়ান (২২) ও শতখালী গ্রামের আকবর মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২০)।
ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জামায়াত নেতা ইউসুবে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০টি জিহাদী বইসহ জামায়াতের সভানেত্রী আছিয়া বেগমকে আটক করে। সে জামায়াতের সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুযায়ী হরতালের সময় নাশকতা সৃষ্টির জন্য নারীদেরকে সংগঠিত করছিলো।
আটককৃত সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।