বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাফারা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধু খুন হয়েছেন।
বুধবার গভীর রাতে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।
রামপাল থানার এসআই মো. ইমারত হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক হত্যায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী এনামুল শেখ।
নিহত সাফারা বেগম রামপাল উপজেলা সদরের ঝনঝনিয়া গ্রামের জালাল ফকিরের মেয়ে এবং এই উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রামের দিন মজুর এনামুল শেখের স্ত্রী।
নিহতের ভাই বেল্লাল হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ১৫ বছর আগে তার বোন সাফারার সঙ্গে এনামুল শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ দিকে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমার ভগ্নিপতি রান্না ঘরে থাকা বসার কাঠের পিড়ি দিয়ে আমার বোনকে এলোপাথাড়ি মারপিটে গুরুতর আহত করে।
বেল্লাল হোসেন আরো বলেন, এসময় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে সাফারা বমি করতে শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিতে তাঁকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
রামপাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমারত হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত একটা ১৫ মিনিটের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্টে নিহত গৃহবধু সাফারার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মাথার আঘাতে কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতের ছেলে আলী ইমরান ও সুরাইয়া আক্তার তাদের মাকে তার বাবা তুচ্ছ ঘটনায় প্রায় মারধর করতো বলে পুলিশকে জানিয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।